ব্যবসাকে বলা হয়ে থাকে স্বাধীন পেশা। আমরা অনেকেই কমবেশি ব্যবসার দিকে কোনো না কোনো সময় ঝুঁকে থাকি।
প্রথম পর্যায়ে আমরা অত বেশি বিনিয়োগ করে ব্যবসা শুরু করতে পারি না। তাই অনেকেই জানতে চান ছোট কিছু ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে।
আজকের পোস্টের মাধ্যমে ১ লাখ টাকায় ব্যবসা যারা শুরু করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য বিস্তারিত আলোচনা করা হবে ।
অর্থাৎ ১ লক্ষ টাকার মধ্যে আপনারা যে ব্যবসা গুলো শুরু করতে পারবেন সেই সম্পর্কিত ব্যবসা সম্পর্কে আইডিয়া দেওয়া হবে।আপনারা চাইলে খুব সহজেই এ ব্যবসা গুলো শুরু করতে পারবেন।
১ লাখ টাকায় ২০ টি ব্যবসার আইডিয়া
বর্তমানে অসংখ্য ব্যবসার সৃষ্টি হয়েছে কিন্তু অনেক ব্যবসায় আছে যে ব্যবসা গুলো করার জন্য অধিক টাকা মূলধন লেগে থাকে। তবে আপনারা চাইলে এই মাঝারি ব্যবসা গুলো এক লাখ টাকায় শুরু করতে পারবেন। নিচে ১ লাকখ টাকায় সেরা ২০ টি ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:-
১.কম্পিউটার রিপেয়ারিং সার্ভিসের দোকান
বর্তমান সময়ে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কতটা জনপ্রিয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই উপকরণগুলোর নিয়মিত ব্যবহার করার কারণে কোনো না কোনো সময় যান্ত্রিক ত্রুটি হয়ে থাকে অথবা খারাপ হয়ে থাকে।
আর যখন ল্যাপটপ বা কম্পিউটার খারাপ হয়ে যায় তখন এগুলো রিপেয়ারিং করার দরকার পড়ে।
তাই আপনি চাইলে এর ওপর ভালো করে পড়াশোনা করে বা কম্পিউটার রিপেয়ারিং এর কোর্স করে ভালো একটি স্থানে কম্পিউটার রিপেয়ারিং এর দোকান দিতে পারেন।
আপনার দোকানটি যদি ভাল স্থান দেখে দিতে পারেন তাহলে খুব সহজেই কাস্টমার পেয়ে যাবেন এবং তারা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নিয়ে আপনার দোকান টিতে আসবে।তাই আপনারা যদি ১ লাখ টাকায় ব্যবসা করতে চান তাহলে এই ব্যবসাটি করতে পারেন।
২.মোবাইল রিচার্জ এবং বিকাশের দোকান দিয়ে ব্যবসা
টাকাপয়সা লেনদেন করার জন্য বিকাশ বর্তমানে খুবই কার্যকরী একটি পদ্ধতি। বাংলাদেশে ডিজিটাল পদ্ধতিতে যত টাকা লেনদেন হয় তার বেশিরভাগই বিকাশের মাধ্যমে হয়ে থাকে।
আর আমরা যখন মোবাইল ব্যবহার করি তখন তো সেগুলোতে রিচার্জ করা লাগেই।তাই এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে মোবাইল রিচার্জ এবং বিকাশের একটি দোকান দেওয়া যেতে পারে।
আপনাকে যদি বিকাশের এজেন্ট হতে হয় তাহলে কিছু টাকা আপনাকে তাদেরকে সিকিউরিটি বাবদ দিতে হবে এবং আপনি যদি সাথে মোবাইল রিচার্জের ব্যবসা করতে চান তাহলে যত টাকা লোড দিতে চাবেন নিজের টাকা থেকেই দিতে হবে।
এই ব্যবসা করার জন্য তেমন বেশি পুঁজির প্রয়োজন হয় না । চাইলে সুন্দর করে দোকানের ডেকোরেশন করে এক লাখ টাকার মধ্যেই এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন।
৩.জলের সাপ্লাই ব্যবসা
শহর অঞ্চলের যারা দোকানে দোকানে জলের সাপ্লাই করে বেড়ায় তারা এই ব্যবসার মাধ্যমে ভালো টাকা লাভ করতে পারেন।
আপনাকে এই ক্ষেত্রে ছোট-বড় যে সকল জলের বোতল গুলো পাওয়া যায় সেই বোতলগুলো ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছ থেকে কম দামে কিনতে হবে এবং দোকান ঠিক করে সেই দোকান গুলোতে সাপ্লাই করতে হবে।
আপনি চাইলে এই ব্যবসাটা বড় পরিসরে করতে পারেন এবং দোকান বাদে বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামের জলের বোতল গুলো আপনি সাপ্লাই করতে পারেন। এই ব্যবসাটি করার মাধ্যমে খুব সহজেই ভালো টাকা লাভ করা যায়।
৪.কাপড়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা
যদি এক লাখ টাকায় ব্যবসা করতে চান তাহলে ভালো একটি স্থান দেখে ছোট একটি কাপড়ের দোকান দিতে পারেন। আপনাকে এই দোকানে ভালো ভালো ব্রান্ডের বিভিন্ন ধরনের কাপড় সংগ্রহ করে নিয়ে আসতে হবে।
তারপর সেখান থেকে ভালো টাকা লাভ করতে পারলে পরবর্তীতে আপনি সেই দোকানটিকে বড় করতে পারেন। প্রথম পর্যায়ে হয়তো আপনি এক লাখ টাকা ইনভেস্ট করার মাধ্যমে তেমন বড় কাপড়ের দোকান দিতে পারবেন না তবে পরবর্তীতে চাইলে এখান থেকে লাভ করে দোকানটি বড় করা সম্ভব।
৫.দুধের সাপ্লাই ব্যবসা
জলের সাপ্লাই দেওয়ার ব্যবসাটি যেমন সহজ তেমনি দুধের সাপ্লাই দিয়েও খুব সহজে আপনারা ভালো টাকা লাভ করতে পারবেন।
দুধের সাপ্লাই ব্যবসার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এই ব্যবসাতে প্রথম পর্যায়ে তেমন বেশি টাকা ইনভেস্ট করা লাগবে না।
দুধের সাপ্লাই ব্যবসা করার জন্য ভালো কিছু গোয়ালা ঠিক করতে হবে এবং তাদের কাছ থেকে সরাসরি দুধ সংগ্রহ করে বিভিন্ন হোটেলে দুধ সাপ্লাই করতে হবে।
আপনি এই ক্ষেত্রে যতবেশি দোকান ধরতে পারবেন আপনার লাভের পরিমাণ টা ঠিক ততটাই বেশি বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠানে এই দুধ সাপ্লাই দেওয়ার মাধ্যমে সেখান থেকে ভালো টাকা লাভ করতে পারেন।বর্তমান সময়ে এই ব্যবসাটি দারুন একটি লাভজনক ব্যবসা।
৬.ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সেবা
বর্তমানে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের সেবাও ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই প্রচুর টাকা ইনকাম করছে।
বর্তমান সময়ে মানুষ এতটাই ব্যস্ত যে নিজেরা কোন ধরনের অনুষ্ঠানের কাজ করতে পারে না। তাই তারা বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান ও প্রোগ্রামগুলো বিভিন্ন ধরনের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলোকে দিয়ে থাকে।
তাই আপনি চাইলে এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি দিতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনার কিছু দক্ষ কর্মচারী লাগবে যারা বিভিন্ন ধরনের কাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করবে।
ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ব্যবসার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এই ব্যবসা করার জন্য প্রথম পর্যায়ে আপনাকে খুব বেশি টাকা বা পুজির প্রয়োজন হবে না। এই ব্যবসাটি চাইলে ১ লাখ টাকার মধ্যে শুরু করা যায়।
৭.খাবার হোটেল দেওয়ার মাধ্যমে ব্যবসা
১ লাখ টাকায় ব্যবসার মধ্যে এটি দারুন একটি ব্যবসা। আপনারা চাইলে ভালো একটি স্থান দেখে ছোট পরিসরে খাবারের হোটেল যেতে পারেন ।
খাবারের হোটেল দেওয়ার পর আপনাকে বেশ কিছু কারিগর নিতে হবে যারা বিভিন্ন ধরনের খাবার আপনার হোটেলে রান্না করে কাস্টমারদের কে পরিবেশন করবে।
বর্তমানে এই ব্যবসাটি ১ লাখ টাকার মধ্যেই করা সম্ভব এবং এই ব্যবসা থেকে ভালো পরিমাণে টাকা লাভ করা সম্ভব। তাই আপনারা চাইলে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
৮.ফলের জুসের স্টল
বর্তমানে ফলের জুসের দোকান দিয়ে সেখান থেকে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। আপনাকে শুধুমাত্র এই ক্ষেত্রে ভালো একটি স্থান দেখে ছোট একটি দোকান দিতে হবে।
তারপরে বিভিন্ন ধরনের ফল আম,কমলা,আনারস ইত্যাদি দোকানে থাকতে হবে।
তারপরে একটি জুসার এর মাধ্যমে এই ফলগুলো জুসে পরিবর্তন করতে হবে এবং সেগুলো আপনার দোকানে আসা কাস্টমারদের কে পরিবেশন করতে হবে।
আপনার দোকানটির যখন জনপ্রিয় হয়ে যাবে তখন অনেক দূর দূরান্ত থেকে আপনার এই দোকানে কাস্টমার আসতে শুরু করবে। আর আপনার দোকানে যতবেশী কাস্টমার আসবে আপনার লাভের পরিমাণ টা ঠিক ততটাই বেশি বৃদ্ধি পাবে।
তাই যদি ১ লাখ টাকায় ব্যবসা করতে চান তাহলে এই ব্যবসাটি কে টার্গেট করতে পারেন।কেননা এ ব্যবসার মাধ্যমে খুব সহজেই ভালো টাকা লাভ করা সম্ভব।
৯.ক্যাটারি সার্ভিস ব্যবসা
বর্তমানে এই ব্যবসাটি খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা। এই ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রথম পর্যায়ে তেমন বেশি খরচ করা লাগেনা। ১ লাখ টাকা খরচের মাধ্যমে এই ব্যবসাটি শুরু করা সম্ভব।
আপনাকে এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেমন, বিয়ে, পার্টি, জন্মদিন, ইত্যাদি এসকল ইভেন্টগুলোতে খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে।
আর বর্তমানে আমরা যে সময়টাতে বসবাস করছি এই সকল অনুষ্ঠানগুলোতে তারা বিভিন্ন ধরনের লোকের ওপর দায়িত্ব দিয়ে থাকে।
তাই আপনি চাইলে এই সকল ক্যাটাগরি সার্ভিসের দায়িত্বগুলো নিতে পারেন একটি টিম তৈরি করে। আপনি তাদের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার আগেই তারা আপনাকে এর জন্য অর্থ পরিশোধ করবে।
১০.টেইলার্সের দোকান দিয়ে ব্যবসা
দর্জির দোকান দিয়ে কিছু কর্মী নেওয়ার মাধ্যমে এই ব্যবসাটা করা সম্ভব। আপনি যখন একটি দর্জির দোকান দিবেন তখন ২-৩ জন কর্মী লাগবে এবং সেলাই মেশিনের প্রয়োজন হবে।
আপনি এই দর্জির দোকানটাতে ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের কাপড় সেলাই করার কাজ সহ আরো অনেক ধরনের কাজ করাতে পারেন।
তাছাড়া অনেক ধরনের কোম্পানি এবং স্কুল-কলেজের অনেক ছাত্র-ছাত্রী আসে এই সকল দোকান গুলোতে তাদের পোশাক তৈরি করার জন্য। আপনি এই সকল অর্ডারগুলো নিতে পারেন।
সঠিকভাবে যদি এই ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব হয় তাহলে এ ব্যবসার মাধ্যমে খুব সহজেই ভালো টাকা আয় করা সম্ভব।
১১.ফার্মেসির দোকান দিয়ে ব্যবসা
ফার্মেসির দোকান দিয়ে এই ব্যবসাটি ১ লাখ টাকায় ব্যবসা গুলোর মধ্যে অন্যতম। এই ব্যবসায় নামার আগে আপনাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট কিছু বিষয় সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নিতে হবে এবং তারপর যদি আপনি যোগ্যতাসম্পন্ন হয়ে থাকেন তাহলে একটি ভাল স্থান দেখে ফার্মেসির দোকান দিতে হবে।
ফার্মেসির দোকান দেওয়ার পরে নিজের কিছু টাকা সেখানে ইনভেস্ট করবেন এবং কিছু টাকা কোম্পানির কাছে বাকি করে মালামাল নেবেন।এইভাবে আস্তে আস্তে আপনার অভিজ্ঞতা ও বাড়বে এবং আপনারা এর পরিমাণও বাড়বে।তাই আপনারা চাইলে ১ লাখ টাকায় এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
১২.কফি শপের ব্যবসা
নির্জন একটি স্থানে কফিশপের দোকান দেওয়ার মাধ্যমে এ ব্যবসাটি শুরু করা যেতে পারে। শহরের ব্যস্ত জীবন থেকে দূরে থাকার জন্য অনেকে কফিশপের দোকানগুলোতে গিয়ে অবসর সময় কাটাতে চান।
তাই নির্জন একটি স্থান দেখে যদি ভালো একটি কফি শপের দোকান দেওয়া যায় তাহলে এই ব্যবসার মাধ্যমে ভালো টাকা লাভ করা সম্ভব। তাই আপনারা চাইলে কফিশপের দোকান দিয়ে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
১৩.পুরনো জিনিসপত্রের দোকান
অনেকেরই পুরাতন জিনিসপত্র কেনার প্রতি বেশ আগ্রহ থাকে । তারা অনেকেই বিভিন্ন ধরনের দোকানে যান এই পুরাতন জিনিস কেনার জন্য।
তাই চাইলে এই সুযোগটাকে কাজে লাগে শুধুমাত্র পুরনো জিনিসপত্র সংগ্রহ করে নিয়ে এসে একটি দোকান দেওয়া যেতে পারে।
আপনি যদি ভাল একটি স্থানে এই দোকানটি দিতে পারেন তাহলে আপনার এই ব্যবসার জন্য কাস্টমারের অভাব হবে না।
অনেক সৌখিন মানুষ রয়েছে যারা এই সকল দোকান গুলো খুঁজে থাকেন এবং এই দোকানগুলো থেকে পুরাতন জিনিস কিনে থাকেন। আর আপনার দোকানটির যখন জনপ্রিয় হয়ে যাবে তখন তো আপনাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। তাই যদি ১ লাখ টাকায় ব্যবসা করতে চান তাহলে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
১৪.হস্তশিল্পের ব্যবসা
হস্তশিল্পের ব্যবসাটি খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা। এই ব্যবসার প্রতিযোগী অনেক কম তাই এই ব্যবসার মাধ্যমে খুব সহজেই ভালো কিছু করা সম্ভব।
আপনাদেরকে শুধু এর জন্য ভালো কিছু মৃৎশিল্পের বা হস্তশিল্পের কাজ জানে এরকম কিছু মানুষের সন্ধান করতে হবে যারা আপনাকে এই ধরনের শিল্প বানিয়ে দিবে।
তারপরে তাদের কাছ থেকে টাকা দিয়ে এই বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্প সংগ্রহ করতে হবে এবং আপনার নিজের দোকানটিতে এগুলো বিক্রি করতে হবে।
হস্তশিল্পের ব্যবসার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এটি খুবই অল্প পুজিতে করা যায় এবং এই ব্যবসায় লস এর পরিমান খুবই কম।তাই আপনারা চাইলে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
১৫.ফুলের দোকান দিয়ে ব্যবসা
ফুল সকলে পছন্দ করে থাকে। বিশেষ করে নির্দিষ্ট কিছুদিন এই ফুলের চাহিদা আরো অনেক বেশি থাকে।
বিয়ে বাড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে ফুল সরবরাহ করা হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি একটি ভাল স্থান দেখে ফুলের দোকান দিতে পারেন তাহলে এখান থেকে ভালো টাকা লাভ করা সম্ভব।
অনেকে ফুলের দোকান দিয়ে এই ব্যবসা করার মাধ্যমে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছে।তাছাড়া আপনারা চাইলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ফুলের সাপ্লাই করতে পারেন। এখান থেকেও ভালো টাকা আয় করা সম্ভব।
১৬.আচার এবং পাপড়ের ব্যবসা
বর্তমানে আচার এবং পাপড়ের ব্যবসাটির খুবি চাহিদা রয়েছে এবং আস্তে আস্তে এই ব্যবসাটি জনপ্রিয় ব্যবসা তে পরিণত হচ্ছে।
তাছাড়া এই ব্যবসা করার আরেকটি বড় সুবিধা হচ্ছে এই ব্যবসার মাধ্যমে খুবই কম টাকা বিনিয়োগ করে ভালো টাকা লাভ করা যায়।
তাছাড়া আপনারা চাইলে সরকার থেকে বিভিন্নভাবে এই ব্যবসার জন্য ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হয়ে থাকে সেগুলো নিয়ে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।কেননা বর্তমান সময়ে এই ব্যবসাটি খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা।
১৭.ফাস্টফুডের দোকান দিয়ে ব্যবসা
ফাস্ট ফুডের দোকানের ব্যবসা টি খুব সহজেই করা সম্ভব। এই ব্যবসাটি ছাত্র থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের লোকই করতে পারেন।
ফাস্ট ফুডের দোকানের এই ব্যবসাটি করার জন্য আপনাদেরকে ভালো একটি স্থান নির্বাচন করতে হবে। তারপরে এক লক্ষ টাকার বিনিয়োগ করার মাধ্যমে এই দোকানে মাল তোলা সহ সব ধরনের কাজ সম্পূর্ণ করে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
ফাস্ট ফুডের দোকানের এই ব্যবসাটি করার মাধ্যমে প্রতিদিনই আয় করা সম্ভব। আস্তে আস্তে আপনার দোকানটির যখন জনপ্রিয়তা অর্জন করবে তখন চাইলে দোকানটি আরো বড় করতে পারেন। আপনারা যদি ১ লাখ টাকায় ব্যবসা করতে চান তাহলে এই ব্যবসাটি হতে পারে খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা।
১৮.চায়ের দোকানের ব্যবসা
চায়ের দোকানের ব্যবসা এটি এমন একটি ব্যবসা যে ব্যবসাতে ঝুঁকির পরিমাণ খুবই সীমিত। অর্থাৎ এই ব্যবসায় ঝুঁকির সম্ভাবনা তেমন নেই বললেই চলে।
চায়ের দোকানের ব্যবসা করার মাধ্যমে এখান থেকে প্রতিদিনের যেমন ইনকাম করতে পারবেন তেমনি আস্তে আস্তে সেই লাভের টাকা থেকে ব্যবসাটি বড় করতে পারবেন।
তাই তাইলে ভালো একটি স্থান দেখে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন এবং এখান থেকে ভালো টাকা লাভ করতে পারেন।১ লাখ টাকার মধ্যে যদি ব্যবসা করতে চান তাহলে এই ব্যবসাটি হচ্ছে আদর্শ ব্যবসা।
১৯.সবজির দোকান দিয়ে ব্যবসা
১ লাখ টাকায় ব্যবসা গুলোর মধ্যে সবজির ব্যবসা টি খুবি লাভজনক ব্যবসা। সবজির ব্যবসা এটি সাধারণত বাজারে করা হয়ে থাকে।
অর্থাৎ বাজারে ভালো একটি স্থান দেখে আপনাকে সবজির দোকান দিতে হবে এবং প্রতিদিন আপনাকে সবজি সংগ্রহ করে নিয়ে আসতে হবে।
ভালো মানের সবজি যদি আপনি কাস্টমারদের কে সরবরাহ করতে পারেন তাহলে তারা পরবর্তীতে আবার আপনার দোকানে আসবে।
এর ফলে প্রতিদিনই আপনি এই ব্যবসার মাধ্যমে কিছু টাকা লাভ করতে পারবেন। এইভাবে আস্তে আস্তে ব্যবসার পরিধি বাড়াতে পারেন এবং এই ব্যবসার মাধ্যমে ভালো টাকা লাভ করতে পারেন।
২০.সেলুনের দোকান দিয়ে ব্যবসা
বিনা ঝুঁকিতে এই ব্যবসাটি করা সম্ভব এবং এই ব্যবসাটি খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। এই ব্যবসা করার জন্য ভালো একটি স্থান দেখে সেলুনের দোকান দিতে হবে এবং দুজন কারিগর রাখতে হবে।
সেলুনে দোকানে যা যা মালামাল লাগবে সব আপনি সেই কারিগরদের কে বুঝিয়ে দিবেন এবং তাদেরকে দৈনিক একটি বেতন ধার্য করবেন অথবা মাসিকও করতে পারেন।
প্রতিদিন এই দোকান থেকে যা ইনকাম হবে তারা আপনাকে বুঝিয়ে দিবে এবং আপনি তাদেরকে মাসিক বেতন দিবেন। যার ফলে আপনি প্রতিমাসে ভালো টাকা লাভ করতে পারবেন এই ব্যবসার মাধ্যমে। তাই যদি এক লাখ টাকায় ব্যবসা করতে চান তাহলে এই ব্যবসাটি করতে পারেন।
আমাদের শেষ কথা
যারা ব্যবসা শুরু করবেন বলে ভাবছেন তারা চাইলে ১ লাখ টাকায় ব্যবসা গুলোর মধ্যে এই ব্যবসাটি গুলো করতে পারেন।বর্তমানে এই ব্যবসা গুলো খুবই জনপ্রিয় ব্যবসা এবং এই ব্যবসা গুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই ভালো টাকা লাভ করা সম্ভব।পোস্টটি পড়ে যদি কোন বিষয় সম্পর্কে বুঝতে অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন এবং পড়ে ভাল লেগে থাকলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।