ফর্মুলা মিল্ক বা কৌটা দুধে শিশুর স্বাস্থ্য ঝুঁকি

117 0
ফর্মুলা মিল্ক বা কৌটা দুধে শিশুর স্বাস্থ্য ঝুঁকি

আজকাল দেখা যায় মায়েরা তাদের বাচ্চা কে বুকের দুধ খাওয়ানর পরিবর্তে কৌটার দুধের উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন। এক দিন বয়সী বাচ্চা থেকে শুরু করে ছয় বছর পর্যন্ত। অনেকেই দেখা যায় বুকের দুধ আসতে দেরি হলেই কৌটার ফর্মুলা দুধের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। তাতে নবজাতকের শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। শুধু তাই না, এই কৌটার ফর্মুলা দুধের আরও অনেক ক্ষতিকর দিক রয়েছে। মায়েরা এই ফর্মুলা দুধ শিশুদের খাইয়ে আরও কি কি ক্ষতি করছেন আসুন জেনে নেইঃ-

সুষম খাবারের অভাবঃ  মায়ের বুকের দুধকে বলা হয় সুষম খাবার। কেননা র মাঝে আছে শর্করা, আমিষ, স্নেহ, ভিটামিন, মিনারেল এর সঠিক সংমিশ্রণ। কিন্তু ফর্মুলা মিল্কে এই অনুপাত সঠিক ভাবে থাকে না যার কারণে বাচ্চা পুষ্টিহীনতায় ভুগে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমেঃ যেহেতু ফর্মুলা দুধ সুষম খাবার নয় তাই এই দুধ শিশুকে খাওয়ালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে শিশু নানান রকম ভাইরাসজনিত সমস্যায় ভুগতে থাকে।

অ্যালার্জি জনিত রোগঃ ফর্মুলা মিল্ক প্রাপ্ত বাচ্চাদের স্থূলতা, নিওনেটাল টেটানি এবং বিভিন্ন অ্যালার্জি জনিত রোগ এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৩ গুন বৃদ্ধি পায়।

মায়ের সু-স্বাস্থ্যের জন্যঃ  ফর্মুলা দুধ খাওয়ালে যে শুধু শিশুর ক্ষতি হবে তাই নায়। তার সাথে মায়েরও ক্ষতি হবে। প্রসব পরবর্তী রক্তপাত কমানো, জরায়ুর পূর্বাবস্থায় ফিরে যাওয়া, ব্রেস্ট, ওভারিয়ান ক্যান্সার, অস্টিওপোরোসিস হওয়ার ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রে রয়েছে স্তন পানের এক অনবদ্য অবদান। যেটা থেকে মা সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত হোন বাচ্চাকে ফর্মুলা মিল্ক খাওয়ানোর কারণে।

বাচ্চার পেটে গ্যাস তৈরিঃ ফর্মুলা দুধে সোডিয়াম যেমন বেশি থাকে তেমন অস্মোলারিটিও বেশি থাকে। ফলে শিশুর পেটে গ্যাস্ট্রিক তৈরি হয়, বমি বমি ভাবসহ বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি করে।

বাড়তি ঝামেলা বহন করাঃ শিশুর জন্য ফর্মুলা মিল্ক তৈরি করতে গেলে প্রয়োজন হয় ফিডার, গরম পানি, চিনি সহ আরও অনন্যা উপকরণ। তাই কোথাও ঘুরতে গেলে বাব-মাকে বহন করতে হয় বাড়তি ব্যাগের বোঝা।

বাড়তি খরচঃ বাজারের ফর্মুলা মিল্কের দাম অনেক বেশি অন্যদিকে মায়ের বুকের দুধ অনেক বেশি সহজলভ্য। তাই এই ফর্মুলা মিল্ক শিশুকে খাওয়াতে গেলে বাড়তি খরচ বহন করতে হয়।

আত্মিক বন্ধন তৈরিঃ মা যখন শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান তখন মা ও শিশুর মধ্যে একধরনের আত্মিক বন্ধন তৈরি হয়। যা ফর্মুলা মিল্কে সেই সম্ভাবনা অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।

তাই ফর্মুলা মিল্ক শিশুকে খাওয়ালে কিছু সুবিধা হয়তো পাওয়া যাবে কিন্তু অনেক সুবিধা থেকে শিশু বঞ্চিত হবে। যার অভাব শিশুকে সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে।

Leave a Reply