পার্ট টাইম ব্যবসা

180 0
পার্ট টাইম ব্যবসা

পার্ট টাইম ব্যবসা আমরা এখন অনেকে করতে চাই।কেননা পার্ট টাইম ব্যবসা করার মাধ্যমে আপনি পার্টটাইম আয় করতে পারবেন। 

 

আর সাধারনত এই কারণে অনেকে পার্ট টাইম ব্যবসা খুঁজে থাকেন। বর্তমানে অনেকে চাকরির পাশাপাশি পার্ট টাইম ব্যবসা করে থাকেন। 

 

তাছাড়া যত সময় যাচ্ছে তত যেন পার্ট টাইম ব্যবসা দিকে মানুষ আরো অনেক বেশি ঝুঁকছে। এখন মানুষ আর একটা ইনকামের ওপর নির্ভর করে থাকছে না। 

 

সে নির্দিষ্ট কাজের পাশাপাশি আবার অন্যান্য কাজ করাও শুরু করে দিচ্ছে আবার অনেকে পার্ট টাইম হিসেবে ব্যবসা কেউ বেছে নিচ্ছে। 

 

আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব টাইম ব্যবসা সম্পর্কে। আপনারা পার্ট টাইম হিসেবে কোন ব্যবসা গুলো কে বেছে নিবেন আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে সে বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে যাবেন।তাহলে চলুন দেরী না করে শুরু করা যাকঃ

 

পার্ট টাইম ব্যবসার আইডিয়া 

 

আপনি কর্মক্ষেত্রে যাই করে থাকুন না কেন আপনারা চাইলে আপনাদের কাজের পাশাপাশি এই পার্ট টাইম ব্যবসা গুলো খুব সহজেই করতে পারবেন। সঠিকভাবে যদি এই ব্যবসা গুলো আপনারা করতে পারেন তাহলে খুব দ্রুতই এ ব্যবসার মাধ্যমে আপনারা সফল হতে পারবেন।

 

১.ফ্লেক্সিলোডের দোকান দিয়ে ব্যবসা 

 

আপনি যে কাজই করে থাকুন না কেন যদি চান পার্ট টাইম হিসেবে ফ্লেক্সিলোডের দোকান দিয়ে ব্যবসা ঠিক করতে পারেন। আপনি যদি এক্ষেত্রে একজন চাকরিজীবী হয়ে থাকেন তাহলে চাকরি শেষ হয়ে যাওয়ার পরে যেটুকু সময় আপনি অবসরে থাকবেন সেই সময়টুকু ফ্লেক্সিলোডের দোকানে বসতে পারেন। 

 

আপনি ফ্লেক্সিলোডের দোকান এর পাশাপাশি আরও অনেক ধরনের ব্যবসা করতে পারেন যেমন ধরেন বিকাশের ব্যবসা,পল্লী বিদ্যুৎ এর বিল দেওয়া ব্যবসা আরো অনেক ধরনের কাজ আপনি ফ্লেক্সিলোডের দোকানটাতে করতে পারেন। 

 

তাই যদি পার্ট টাইম ব্যবসা হিসেবে কিছু করতে চান তাহলে আপনি ফ্লেক্সিলোডের দোকান দিয়ে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। 

 

২.স্টুডিওর দোকান দিয়ে ব্যবসা 

 

শহর অঞ্চলের অনেকে স্টুডিও এর দোকান দিয়ে এই ব্যবসাটিকে পার্ট টাইম হিসেবে নিয়ে থাকে। আপনারা হয়তো কমবেশি সকলেই জানেন যে স্টুডিওর দোকানের জনপ্রিয়তা দিন দিন অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

অল্প সময়ে এইখানে ভালো ছবি তোলা যায় বলে অনেকে স্টুডিওর দোকানে এসে ভিড় করে থাকে এবং এটি যার জন্য বর্তমানে সেরা লাভজনক ব্যবসার কাতারে দাঁড়িয়েছে।

 

তাই যদি সঠিকভাবে এই ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারেন তাহলে পার্ট টাইম ব্যবসা হিসেবে এটাকে নিতে পারেন এবং এখান থেকে খুব সহজেই ভালো পরিমাণে আয় করতে পারেন।

 

৩.ফার্মেসি ব্যবসা 

 

আপনি যদি এইসব বিষয়ে খুবই ভালো বুঝে থাকেন বা পূর্বের কোন অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি পার্ট টাইম ব্যবসা হিসেবে এই ব্যবসাটি কে বেছে নিতে পারেন।

 

অনেকে এই ব্যবসাটা যেকোনো কাজের পাশাপাশি করতে পারে এবং এই ব্যবসার মাধ্যমে খুব সহজেই ভালো পরিমাণ লাভ করতে পারে।

 

আপনি চাকরি শেষ করে যতটুকু সময় পাবেন চাইলে ফার্মেসি দোকানটিতে বসতে পারেন এবং সেখান থেকে প্রতি মাসে ভালো কিছু টাকা আপনি লাভ করতে পারেন।

 

তবে অবশ্যই আপনাকে এই ব্যবসাটি করতে হলে সঠিক প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরে তারপরে ব্যবসাটি শুরু করতে হবে। 

 

৪.অনলাইনে কোচিং সেন্টার ব্যবসা:

 

বর্তমানে এই ব্যবসাটি অবসর সময়ে যারা ব্যবসা করতে চান তাদের জন্য খুবই জনপ্রিয় ব্যবসা তে পরিণত হয়েছে। 

 

অনলাইনে কোচিং সেন্টারের ব্যবসা করার মাধ্যমে এখান থেকে অনেক ছাত্র-ছাত্রী আছে যারা লাখ লাখ টাকা আয় করে চলেছে। 

 

আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা সম্পন্ন হয়ে থাকেন তাহলে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে কোচিং সেন্টারের এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। 

 

সঠিক পদ্ধতিতে যদি আপনি আপনার কোচিং সেন্টারটি চালিয়ে যেতে পারেন তাহলে অবশ্যই কিছুদিনের মধ্যে আপনার কোচিং সেন্টারে  শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেকাংশে বেড়ে যাবে। 

 

যার ফলে আপনার আয়ের পরিমাণটাও অনেক ক্ষেত্রে বেড়ে যাবে। তাই আপনি চাইলে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন এবং এখান থেকে ভাল টাকা আয় করতে পারেন। 

 

৫.অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং 

 

বর্তমানে আপনারা চাইলে পার্ট টাইম ব্যবসা হিসাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং টাকে নিতে পারেন।এখন এমন অনেকে আছে যারা চাকরির পাশাপাশি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে সেখান থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা ইনকাম করে চলেছেন। 

 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো আপনি এখান থেকে কোন ধরনের ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই আয় করতে পারবেন।

 

অর্থাৎ আপনি কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট বিক্রি করে দিবেন এবং সেই বিক্রিকৃত প্রোডাক্টের লাভের অংশ থেকে আপনাকে একটা অংশ দেওয়া হবে।আপনি এক্ষেত্রে যত বেশি প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবেন আপনারা এর পরিমাণটা ততটাই বেশি বৃদ্ধি পাবে। 

 

৬.ব্লগিং এর ব্যবসা 

 

বর্তমানে আমাদের দেশে এমন অনেক ব্লগার আছে যারা শুধু মাত্র দিনে এক ঘণ্টা ব্লগিং করার মাধ্যমে প্রতি মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করে চলেছে। 

 

আবার অনেকে এমন ব্লগার আছে যারা ফুলটাইম ব্লগিং করার মাধ্যমে ব্লগ থেকে মাসে ১ লক্ষ টাকার অধিক ইনকাম করেছে।

 

ব্লগিং করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো আপনি এটি যে কোনো কাজের পাশাপাশি করতে পারবেন এবং আপনি যদি সঠিকভাবে কাজ করে যেতে পারেন তাহলে এখান থেকে একসময় আপনি ইনকাম করতে পারবেন।

 

তাই যদি লেখালেখি করতে ভালো লেগে থাকে তাহলে পার্ট টাইম হিসেবে ব্লগিং করতে পারেন যেকোনো কাজের পাশাপাশি। হয়তো একসময় ব্লগিং থেকেই আপনার ভালো একটা ইনকাম আসবে।

 

৭.ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে ব্যবসা

 

ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার মাধ্যমে আপনারা চাইলে পার্ট টাইম ব্যবসা করতে পারবেন। বর্তমানে ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে অনেকে অনেক ভাবে ইনকাম করে চলেছে।

 

কেউ ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে নিজের কোম্পানির প্রোডাক্ট বিক্রি করে থাকে, কেউ ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকে, আবার কেউ ইউটিউব চ্যানেলে এডসেন্স লাগিয়ে সেখান থেকে ইনকাম করে থাকে। 

 

আরো অসংখ্য উপায় রয়েছে ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করার জন্য।আপনি যেটাকে টার্গেট করবেন সেই অনুযায়ী কাজ করে যেতে হবে পার্ট টাইম ইনকাম করার জন্য এই ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম থেকে। 

 

যদি এই প্লাটফর্মে আপনি সঠিকভাবে কাজ করে যেতে পারেন তাহলে এখান থেকে পার্টটাইম ভালো অর্থ আপনি উপার্জন করতে পারবেন খুব সহজেই। 

 

আমাদের শেষ কথা 

 

যারা পার্ট টাইম ব্যবসা করতে চান তারা চাইলে এই ব্যবসা গুলো শুরু করতে পারেন। বর্তমান সময়ের সেরা কিছু পার্টটাইম ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আজকে আপনাদের সাথে এই আর্টিকেলে বলা হলো।তার পরেও যদি কোন বিষয় বুঝতে অসুবিধা হয়ে থাকে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

Leave a Reply