জন্ম নিবন্ধন বয়স সংশোধন করার নিয়ম

202 0
জন্ম নিবন্ধন বয়স সংশোধন করার নিয়ম

অনেকের জন্মনিবন্ধনের অনেক ধরনের ভুল হয়ে থাকে। কারো কারো জন্মনিবন্ধনে বয়সসীমা ভুল হয়ে থাকে।তখন বয়স সংশোধন করার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু অনেকেই জন্ম নিবন্ধন বয়স সংশোধন করার সঠিক নিয়ম জানেন না। যার কারণে তারা বয়স সংশোধন করতে পারেন না।

 

আজকের পোস্টে আমি আপনাদেরকে বলবো কিভাবে জন্ম নিবন্ধন বয়স সংশোধন করবেন। আপনার কাছে যদি জেএসসি, এসএসসি বা এইচএসসি যেকোনো বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট থাকে তাহলে সেটা ব্যবহার করে খুব সহজেই নিজের জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনাকে জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য যে কোন প্রমাণ দেখাতে হবে।তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক জন্ম নিবন্ধনের বয়স সংশোধনের নিয়ম সম্পর্কেঃ-

 

জন্ম তারিখ সংশোধন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র 

 

আপনার জন্ম তারিখে যদি কোনো ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে তা সংশোধনের জন্য আপনাকে কিছু প্রমাণ দেওয়া লাগবে। তা ছাড়া কোনভাবেই জন্ম তারিখ সংশোধন করতে পারবেন না। জন্ম তারিখ সংশোধন করার জন্য উক্ত ডকুমেন্ট গুলোর মধ্যে থেকে যেকোন ডকুমেন্ট জমা দেওয়া লাগে। যেমনঃ-

 

১.ইপিআই কার্ড বা শিশুর টিকার কার্ড

 

২.নিবন্ধনকৃত ব্যক্তির যেকোনো স্কুল সার্টিফিকেট হলেই হবে।

 

৩.পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র বা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র দিলে হবে।

 

৪.নিবন্ধনকৃত ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্র থাকলে হবে।

 

৫.ইস্যু সম্পর্কিত ফাইল (যদি পুরাতন জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করে থাকেন)

 

যাদের জন্ম নিবন্ধনে কোন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে বা জন্ম নিবন্ধনের কোন কিছু সংশোধন করতে চান তারা চাইলে এই পাঁচটি ডকুমেন্ট এর মধ্যে থেকে যেকোন একটি ডকুমেন্ট ব্যবহার করে খুব সহজেই জন্ম নিবন্ধন বয়স সংশোধন করতে পারবেন।

জন্ম নিবন্ধন বয়স সংশোধন করার নিয়ম 

 

যাদের জন্ম নিবন্ধন কার্ডে বয়স জনিত কোন ভুল থাকে তারা চাইলে উক্ত পদ্ধতিতে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে পারবেন।আমি আপনাদেরকে নিচে খুবই সহজ ভাবে দেখাবো কিভাবে আপনারা জন্ম নিবন্ধন বয়স সংশোধন করবেনঃ-

 

➡️জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন করার জন্য https://bdris.gov.bd/br/correction আপনাদেরকে সরাসরি উক্ত ওয়েবসাইটটিতে চলে যেতে হবে।

 

➡️ওয়েবসাইটটিতে যাওয়ার পর আপনারা এরকম একটি ছবি দেখতে পারবেন।

 

এখান থেকে আপনাদেরকে জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এবং জন্ম তারিখটি দিতে হবে।

 

➡️জন্ম তারিখ এবং জন্ম নিবন্ধন নাম্বার সঠিকভাবে দেওয়া হয়ে গেলে অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করতে হবে।

 

➡️অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করার পর আপনার নাম বয়স এবং পিতা-মাতার নাম সহ আরও অনেক তথ্য শো করবে। আপনাকে এবার নির্বাচন করুন বাটনে ক্লিক করতে হবে এবং সেখান থেকে কনফার্ম অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।

 

➡️তারপরে আপনার সামনে আর একটি নতুন পেজ আসবে এখানে আপনার জন্ম নিবন্ধনের তথ্য গুলো দিতে হবে। এবার আপনি যদি জন্ম তারিখ সংশোধন করতে চান তাহলে জন্মতারিখ সংশোধন বাটনে ক্লিক করতে হবে এবং সেখানে জন্মতারিখ বসাতে হবে।

 

➡️জন্মতারিখ বসানোর পর আপনি আরেকটি অপশন পাবেন ওখানে ক্লিক করবেন এবং ভুল লিপিবদ্ধ হয়েছিল এই বাটনটিতে ক্লিক করবেন।

 

➡️তারপরে আপনার জন্ম নিবন্ধনের তথ্য অনুযায়ী পরবর্তী ঘরগুলো পূরণ করে ফেলতে হবে। তারপরে আপনার মোবাইল নাম্বার দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে। মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়ে গেলে আপনাকে সংযোজন বাটনে ক্লিক করতে হবে।

 

➡️এবার আপনার কাছে যে সার্টিফিকেটটা রয়েছে সার্টিফিকেটের ছবি তুলে জমা দিতে হবে। তারপরে ফি আদায় অপশনটি সিলেক্ট করে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।

 

➡️আপনার আবেদন প্রক্রিয়া টি শেষ এবার আপনি চাইলে আপনার নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদ অথবা পৌরসভা থেকে কিছুদিনের মধ্যেই জন্ম নিবন্ধন সংশোধন কপি নিতে পারবেন।

 

পরিশেষে, যাদের জন্ম নিবন্ধন বয়স সংশোধন করার প্রয়োজন তারা উক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করে খুব সহজে জন্ম নিবন্ধন বয়স সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর কোন বিষয় সম্পর্কে যদি বুঝতে কোন ধরনের অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে আমাদেরকে সরাসরি কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

Leave a Reply