স্টক মালের ব্যবসাঃ ব্যবসা কি মূলত বলা হয়ে থাকে স্বাধীন পেশা। এখানে আপনি আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী যেকোনো কাজ করতে পারবেন।
আর বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে চাকরি-বাকরির যা অবস্থা এর জন্য অনেক তরুণ ও লেখাপড়া শেষ করে এই ব্যবসার দিকে ঝুঁকছেন।
এমন অনেক তরুণ উদ্যোক্তা রয়েছেন যারা কয়েক বছর আগে ব্যবসা শুরু করে নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পেরেছেন।
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে লাভজনক একটি ব্যবসা হচ্ছে স্টক মালের ব্যবসা। স্টক মালের ব্যবসা করার মাধ্যমে অনেক ব্যবসায়ী সফল হতে পেরেছেন ব্যবসাক্ষেত্রে।
আজকে আমি তাই আপনাদেরকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বলবো কয়েকটি স্টোক মালের ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে।
স্টক মালের ব্যবসা আইডিয়া
১.আলুর স্টক ব্যবসা
আমাদের দেশে আলুর চাহিদা ঠিক কতটা আপনাদের এই সম্পর্কে আর নতুন করে কিছু বলা লাগবে না আপনারা এটা সকলেই জানেন। তাই আপনি এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে স্টক মালের ব্যবসা শুরু করতে।
আলু আমাদের দেশে মূলত সিজন মেয়াদী একটি ফসল। আলু সিজন মেয়াদী ফসল হলেও আলুর চাহিদা কিন্তু আমাদের দেশে সারা বছর জল থাকে। রান্নাঘরে বাঙালি আলু ছাড়া কিছু বোঝেনা।
অনেক সময় দেখা যায় হাটে-বাজারে মাঝেমধ্যেই আলু সংকট দেখা দিয়েছে। এই সময় যাদের আলু স্টক থাকে তারা ভাল টাকা লাভ করতে পারেন আলু বাজারে ছাড়ার মাধ্যমে।
তাই আপনি যদি আলুর স্টক ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনাকে এই ক্ষেত্রে কৃষকদের কাছ থেকে আলুর সিজনে আলু আগে কিনে স্টক করে রাখতে হবে এবং দাম ভালো পেলে কিছুদিন পর বেচে দিতে হবে।
আলু যেহেতু পচনশীল দ্রব্য তাই অবশ্যই এর রক্ষণাবেক্ষণ ভালোভাবে আপনাকে করতে হবে। আপনি যদি সঠিকভাবে আলুর স্টক ব্যবসাটি করতে পারেন তাহলে অবশ্যই এ ব্যবসা করার মাধ্যমে আপনি ভাল লাভ করতে পারবেন।
২.ধানের স্টক ব্যবসা
বাঙালির প্রধান খাদ্য হচ্ছে ভাত আর ভাত কিন্তু ধান থেকেই হয়।তাই বাঙালির ঘরে ধানের কেমন চাহিদা তা তো আপনারা ভালই বুঝে গিয়েছেন এতক্ষণে।
আপনি চাইলে এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে ধানের স্টক ব্যবসা শুরু করতে পারেন। স্টক মালের ব্যবসায়ীদের মধ্যে এটি হচ্ছে খুবই লাভজনক একটি ব্যবসার আইডিয়া।
আপনাকে শুধুমাত্র এই ক্ষেত্রে ধানের সিজনে কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে ধান কিনে নিয়ে আপনার গোডাউনের স্টক করে রাখতে হবে।
তারপর আপনি যখন বাজারে ধানের দাম বেশি পাবেন তখন আপনার গোডাউনের ধান আপনি বাজারজাতকরণ করতে পারেন এবং এই সময় আপনি বেশি দামে ধান বিক্রি করার ফলে অনেক টাকা লাভ করতে পারবেন খুব সহজেই।
যেহেতু ধান পচনশীল দ্রব্য নাই তাই এক্ষেত্রে আপনার ক্ষতির সম্ভাবনা অনেক কম থাকবে অন্যান্য ফসলের চেয়ে। আপনি যদি ধানের স্টপ ব্যবসাটি বুঝে শুযে ভালোভাবে করতে পারেন তাহলে অবশ্যই এই ব্যবসার মাধ্যমে আপনি ভাল টাকা খুব সহজেই লাভ করতে পারবেন।
৩.গমের স্টক ব্যবসা
আপনি চাইলে গমের স্টক ব্যবসা শুরু করতে পারেন কেননা গম থেকে রুটি তৈরি হয়ে থাকে। আর বাঙালির ভাতের পর যে জিনিসটা চাহিদা সবথেকে বেশি রয়েছে সেটি হচ্ছে রুটি।
তাই আপনি কম দামে বেগম কিনে এনে আপনার গোডাউনের স্টক করে রাখতে পারেন এবং বাজারে যখন ভালো দাম পাবেন সেই সময় আপনি আপনার স্টোক করা মাল বাজারজাতকরণ করতে পারেন।
তবে কখনো বেশি লাভের আশায় বেশি দিন কোন মাল গোডাউনে রাখা উচিত নয় কেননা দাম যেমন ওঠে আবার কমে যায়। তাই কখনোই অতিরিক্ত লাভের কথা চিন্তা করা যাবে না।
আপনি যদি সঠিক সময়ে মাল বাজারজাতকরণ করেন ভালো কাস্টমারের কাছে বিক্রি করতে পারেন তাহলে গো মেরিষ্টপ ব্যবসার মাধ্যমে আপনি ভাল টাকা খুব সহজেই লাভ করতে পারবেন।স্টক মালের ব্যবসা গুলির মধ্যে এটিও দারুন একটি ব্যবসার আইডিয়া।
৪.বাদামের স্টক ব্যবসা
বাদাম পছন্দ করেন না এমন লোক হয়তো খুব কমই আছেন। বাদাম হচ্ছে অবসর সময় কাটানোর দারুণ একটি মাধ্যম।
অবসর সময়ে সাথে যদি থাকে বাদাম সময় যেন কিভাবে কেটে যায় বোঝাই যায়না। আমাদের দেশে অনেক ধরনের বাদাম পাওয়া যায়।
আপনি চাইলে ভালোভালো বাদাম ও স্বল্প দামে কিনে এনে আপনার গোডাউনের স্টক করে রাখতে পারেন এবং যখন দেখবেন বাজারে বাদামের দাম বাড়ছে তখন আপনার স্টক করা বাদাম বাজারজাতকরণ করতে পারেন।
আপনি যদি সঠিক সময়ে আপনার স্টক করা বাদাম বাজারজাতকরণ করতে পারেন তাহলে অনায়াসেই এখান থেকে আপনি ভালো পরিমাণে অর্থ খুব সহজেই লাভ করতে পারবেন।
তাই আপনি যদি মনে করে থাকেন যে স্টক মালের ব্যবসা শুরু করবেন তাহলে আপনি এই ব্যবসাটি করতে পারেন কেননা স্টক মালের ব্যবসার মধ্যে এটিই হচ্ছে দারুন একটি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া।
৫.খিরা বা শশার স্টক ব্যবসা
গরমের সময় খিরা খেতে সকলেই পছন্দ করে। বিশেষ করে রমজানের আগে মানুষ যেন খিরা ছাড়া কিছুই বোঝে না ইফতারে।
আর আপনারা একটা জিনিস লক্ষ্য করে দেখবেন যে প্রত্যেক রমজানের সময় খিরা বা শসার দাম হঠাৎ করে অনেক বেড়ে যায়।
তাই আপনারা চাইলে এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে খিরা বা শশার স্টক ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনি যদি এই মাল গুলো সঠিকভাবে সংরক্ষণ করে ঠিক সময় মতো বাজারজাতকরণ করতে পারেন তাহলে আপনারা এই খিরার স্টক ব্যবসা করার মাধ্যমে খুব সহজেই ভালো টাকা লাভ করতে পারবেন ওই সময়ে।
তাই আপনারা যদি স্টক মালের ব্যবসা আইডিয়া খুঁজে থাকেন এই ব্যবসাটি করতে পারেন সিজনের সময়।স্টক মালের ব্যবসা আইডিয়া রয়েছে তার মধ্যে এটি একটি সেরা ব্যাবসা আইডিয়া।
৬.খিরখেজুরের স্টক ব্যবসা
খির খেজুরের স্টক ব্যবসা টিম আপনারা চাইলে করতে পারেন এটি একটি লাভজনক ব্যবসা। এই ব্যবসাটি মূলত আপনারা রমজান মাসের আগে শুরু করতে পারেন।
আপনাদেরকে এই ক্ষেত্রে রমজান মাসের কিছুদিন আগে খিরখেজুর স্বল্প দামে কিনে আপনার গোডাউন ভর্তি করে রেখে দিতে হবে এবং যখন দেখবেন বাজারে খির খেজুরের দাম খুব বেশি তখন আপনাকে বিভিন্ন দোকানে দোকানে গিয়ে আপনার খেজুরগুলো বাজারজাতকরণ করতে হবে।
আপনি এই টাইমে যত বেশি খেজুর বিক্রি করতে পারবেন আপনি তত বেশি লাভ করতে পারবেন। তাই আপনি যদি স্টক মালের ব্যবসা করার চিন্তা করে থাকেন তাহলে আপনি খেজুরের স্টপ ব্যবসাটি করতে পারেন এটি একটি দারুন ব্যবসার আইডিয়া হতে পারে আপনার জন্য।
৭.কাপড়ের স্টক ব্যবসা
স্টক মালের ব্যবসার মধ্যে কাপড়ের স্টক ব্যবসাটি আমার মনে হয় সব থেকে কার্যকারী এবং বর্তমানে সেরা লাভজনক একটি ব্যবসা।
আপনি যদি সঠিকভাবে এই কাপড়ের স্তুপ ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনাকে আর এক্ষেত্রে পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না।
আপনারা যারা কাপড় কিনে থাকেন তারা অবশ্যই একটি জিনিষ খেয়াল করবেন যে শীতের সময় গরমের পোশাকের দাম কম থাকে আর গরমের সময় শীতের পোশাকের দাম কম থাকে।
তাই আপনারা চাইলে এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে কাপড়ের স্তুপ ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। শীতের সময় গরমের পোশাক কিনবেন আর গরমের সময় শীতের পোশাক কিনবেন দিয়ে আপনার স্টকে রেখে দিবেন এবং যখন দেখবেন শীত চলে এসেছে তখন আপনি শীতের পোশাক বাজারে ছেড়ে দিবেন।
আপনাকে এই ক্ষেত্রে কিছু দোকানদারদের টার্গেট করতে হবে যেসব দোকানদারের সাথে আপনি ব্যবসা শুরু করবেন। আপনি এই ব্যবসাটা ভালোভাবে বুঝে সহ্য করতে পারলে অবশ্যই আপনি এ ব্যবসার মাধ্যমে ভালো টাকা খুব সহজেই আয় করতে পারবেন।
৮.সিগারেটের স্টক ব্যবসা
আপনারা চাইলে সিগারেটের স্টক ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কিন্তু এই ব্যবসাটি আপনি সকল সময় করতে পারবেন না এটি হচ্ছে এই ব্যবসার প্রধান অসুবিধা।
সাধারণত আপনাকে এই ব্যবসাটি করতে হলে বাজেট পাস হওয়ার কিছুদিন আগে আপনাকে সিগারেট পাইকারিভাবে কিনে রেখে আপনার গো ডাউন লোড করতে হবে এবং যখন দেখবেন বাজেট পাস হয়ে গিয়েছে তখন দেখবেন সিগারেটের দাম কিছুটা বেড়ে গিয়েছে।
তখন এই সময়ে আপনি আপনার সিগারেটগুলো বাজারজাত করার চেষ্টা করবেন এবং এখান থেকে আপনি ভালো টাকা একবারেই লাভ করে নিতে পারবেন। তবে এই ব্যবসাটি আপনি যেহেতু সকল সময় করতে পারবেন না তাই যা লাভ করার এখান থেকে একবারে করে নিতে হবে।
৯.পেঁয়াজের স্টক ব্যবসা
আপনারা কিছুদিন আগেই তো দেখলেন যে পেঁয়াজের দাম কি ছিল। আর ওই সময়ে যাদের গোডাউনে পেঁয়াজ ছিলো তারা হাজার হাজার টাকা লাভ করে নিয়েছে এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে।
তাই আপনি চাইলে যখন পেঁয়াজ উঠবে তখন কৃষকদের কাছ থেকে পেঁয়াজ স্বল্প দামে কিনে সেগুলো আপনার গোডাউনের স্টক করে রাখতে পারেন এবং যখন দেখবেন যে বাজারে ভাল দাম পাচ্ছেন তখন আপনি পেঁয়াজগুলো বাজারজাতকরণ করতে পারেন।
তবে পেঁয়াজ যেহেতু পচনশীল একটি ফসল তাই অবশ্যই এর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা ভাল করতে হবে না হলে আপনার লাভের চেয়ে লস বেশি হয়ে যাবে।
তাই আপনি যদি স্টক মালের ব্যবসা করবেন বলে মনে করে থাকেন তাহলে আপনি পিয়াজের স্টক ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
১০.রসুনের স্টক ব্যবসা
রসুন মালের ব্যবসার মধ্যে রসুনের স্টক ব্যবসা এটি হচ্ছে আরেকটি লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া।আপনাকে এই ক্ষেত্রে রসুন সঠিক সময়ে আপনার গোডাউনে কিনে রাখতে হবে এবং যখন দেখবেন বাজারের রসুনের দাম বাড়ছে তখন আপনি আপনার গোডাউনে থাকা রসুন বাজারজাতকরণ করতে পারেন।
আপনি যদি সঠিক সময়ে রসুন বাজারজাতকরণ করতে পারেন এবং ভালো জায়গার যদি রসুন বিক্রি করতে পারেন তাহলে অবশ্যই এই ব্যবসা করার মাধ্যমে আপনি অনেক টাকা লাভ করতে পারবেন খুব সহজেই। যেহেতু রসুন পচনশীল ফসল নয় তাই এক্ষেত্রে আপনার লস এর সম্ভাবনা অনেক কম থাকবে।
তাই আপনি যদি মনে করে থাকেন যে স্টক মালের ব্যবসাটি আপনি শুরু করতে চান তাহলে এই রসুনের স্টক ব্যবসা কি আপনি শুরু করতে পারেন।
১১.আদা ও মসলার ব্যবসা
আদার দাম মাঝেমধ্যেই পরিবর্তিত হয়ে থাকে। তাই আপনি সুযোগ বুঝে আদা আপনার স্টকে সীমিত পরিমাণে রেখে দিতে পারেন এবং ঠিক টাইমে বাজারজাতকরণ করতে পারেন তাহলে এর মাধ্যমে আপনি ভাল টাকা লাভ করতে পারবেন।
বাঙালি প্রাচীনকাল থেকেই মসলা প্রিয় তাই মসলার চাহিদার কথা আপনাদের আর নতুন করে কিছু বলা লাগবে না।তাই আপনি চাইলে এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে কিছু মসলা আপনার স্টকে রেখে দিতে পারেন এবং বাজারের যখন ভালো দাম পাবেন তখন ওই মসলাগুলো বাজারজাতকরণ করতে পারেন। আপনি এই ব্যবসার মাধ্যমেও ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারেন।
১২.সুপারির স্টক ব্যবসা
যারা মূলত পান খেতে পছন্দ করেন তারা সুপারি পছন্দ করে থাকেন অনেক। আমাদের দেশে অনেক ধরনের সুপারি চাষ হয়ে থাকে। তাই আপনি চাইলে বিভিন্ন স্থান থেকে সুপারি পাইকারি দামে কিনে নিয়ে এসে আপনার এলাকায় বিক্রি করতে পারেন যখন দাম বেশি থাকবে।
আপনি যদি সঠিক সময়ে সঠিক স্থান বুঝে সুপারির বিক্রি করতে পারেন তাহলে আপনি এই সুপারির স্টক ব্যবসা করার মাধ্যমেও ভালো টাকা লাভ করতে পারবেন খুব সহজেই।
তাই যদি স্টক মালের ব্যবসা শুরু করতে হয় তাহলে আপনারা সুপারির স্টক ব্যবসাটিও শুরু করতে পারেন।
স্টক মালের ব্যবসা শুরু করার আগে কিছু টিপস
স্টক মালের ব্যবসা লাভজনক ব্যবসা ঠিক আছে কিন্তু স্টক মালের ব্যবসাটি সঠিকভাবে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে করতে হবে।
দেখুন এক এক সময় এক এক ধরনের পণ্য বাজারে চলে আপনি ধরুন খিরার স্টক ডাকলেন আপনার গোডাউনের হয়তো এই সময়ে আপনি নতুন আলু স্টক করতে পারবেন না তাহলে এই টাইমে আপনি ধানের স্টক রাখতে পারেন।
যারা অতীতে স্টক মালের ব্যবসা করে লাভবান হয়েছেন তাদের মতে স্টক মালের ব্যবসাটি শুরু করার জন্য অবশ্যই দুই থেকে তিনটি আইটেম নিয়ে এই ব্যবসায় নামা উচিত।
কেননা আপনি এক্ষেত্রে যদি কোনো মালে দূর্ঘটনাবশত লঞ্চের সম্মুখীন হয়ে থাকেন তাহলে আরেকটি আইটেম দিয়ে বাজারজাতকরণ করার মাধ্যমে আপনি সেই লস কাটিয়ে উঠতে পারবেন এবং এর থেকে আপনি অনেক বেশি লাভ করতে পারেন।
তাই একটি মালের উপর ভিত্তি করে কোন সময় ব্যবসা ক্ষেত্রে সফলতা আসে না।তাই কিছু না হলেও দুই থেকে তিনটি আইটেমের স্টক ব্যবসা আপনার শুরু করা উচিত। আপনি যদি বেশি পরিসরে মাল নিতে না পারেন তাহলে অল্প পরিসরে শুরু করুন।
আরেকটি জিনিস মাথায় রাখবেন সেটি হচ্ছে অধিক অর্থ লাভের আশায় কোন সময় মাল গোডাউনে রাখবেন না। কিছু কিছু স্টক মালের ব্যবসায়ী আছে যারা অধিক লাভের আশায় বিভিন্ন মাল তাদের স্টকে রেখে দিয়ে থাকেন এবং ফলশ্রুতিতে পরে তাদের মালগুলো পৌঁছে যায় যার ফলে তারা ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
তাই আপনি যদি স্টক মালের ব্যবসা শুরু করতে চান এই ভুল করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকবেন দরকার হয় স্বল্প পরিমাণ লাভের আপনি মাল বাজারজাতকরণ করে ফেলবেন।কেননা কোনকিছুই অতিরিক্ত ভালো না। আপনি যদি সব দিক নির্দেশনা মেনে স্টক মালের ব্যবসা শুরু করতে পারেন তাহলে অবশ্যই এই ব্যবসা করার মাধ্যমে আপনি একজন সফল ব্যবসায়ী তে খুবই দ্রুত রূপান্তরিত হতে পারবেন।
স্টক মালের ব্যবসা হালাল নাকি হারাম
স্টক ব্যবসা হালাল কি হারাম এই নিয়ে অনেকজন প্রশ্ন করে থাকেন। দেখুন আপনাদের এই বিষয়টা জানা উচিত যে স্টক ব্যবসা হচ্ছে সম্পূর্ণ হালাল একটি ব্যবসা।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই স্টক ব্যবসা হারাম হয়ে যায় যেমন ধরুন বন্যার সময় যদি আপনি মাল স্টক করে রাখেন এবং সেই সময়েও যদি আপনি মাল চড়া দামে বাজারে বিক্রি করেন সাধারণ মানুষের কাছে। তখন সাধারণত স্টক ব্যবসা হারাম হয়ে যায়।
আর তাছাড়া আপনি অন্য যেকোন ক্ষেত্রে স্টক মালের ব্যবসা করতে পারেন যে পদ্ধতিতেই করুন না কেন সেটাকে হারাম হিসেবে গণ্য হবে না। আপনাকে কোন সময় দুর্ভিক্ষের সময় মাল স্টক করে রাখা চলবে না এটাকে হারাম বলা হয়। তাহলে আপনারা অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন যে স্টক মালের ব্যবসা হালাল কি হারাম।
আমাদের শেষ কথা
আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে যারা স্টক মালের ব্যবসা করতে চান তাদের আর এ বিষয়ে কোন সমস্যা থাকবে না যে আপনারা কোন ব্যবসাটি শুরু করতে চান। আমি আপনাদেরকে আজকের স্টক মালের সেরা কয়েকটি ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে ধারণা দিতে চেয়েছি আপনারা এখান থেকে যে কোন একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনারা যদি সঠিক ব্যবসা পদ্ধতি অবলম্বন করে স্টক মালের ব্যবসা করতে পারেন তাহলে অবশ্যই এ ব্যবসা করার মাধ্যমে আপনি একজন সফল ব্যবসায়ী হতে পারবেন।